গুলশান হামলা মামলা : জামিন পাননি হাসনাত
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জামিন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন নাকচের আদেশ দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন সাংবাদিককদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ মামলায় এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদাল থেকে হাসনাত করিমের জামিন নাকচ হয়। পরে তিনি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অনেককে জিম্মি করে জঙ্গিরা। পরের দিন সকালে সেনা কমান্ডো অভিযানে জিম্মিদশার অবসান হয়। তার আগেই ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আহত হন অনেকে। পরের দিন কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী নিহত হন।
আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাঁচ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করলেও পুলিশ এ ঘটনার জন্য দেশীয় জঙ্গি দল জেএমবিকে দায়ী করে আসছে।
সেদিন অভিযান শেষে উদ্ধার ১৩ জনসহ ৩২ জনকে নেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে। জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাই করে তাদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হলেও হাসনাত ও তাহমিদকে ফিরে না পাওয়ার কথা জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
এরপর পুলিশ জানায়, গত ৩ আগস্ট রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাহমিদকে এবং গুলশান আড়ংয়ের সামনে থেকে হাসনাত করিমকে আটক করা হয়।
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাসনাতকে ২০১২ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদ কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। গুলশানের ঘটনার একদিন আগে দেশে ফিরে ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের।