চালের দাম কমাতে সরকারকে নোমানের পরামর্শ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, চাল আমদানিতে নির্ধারিত শুল্ক কমায়নি সরকার। বিনা শুল্কে আমদানি করা গেলে মজুদদারারা দাম বাড়াতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নোমান এই মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওএমএসে ৩০ টাকায় চাল দিচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে প্রাইভেট সেক্টর যে আমদানি করত, তা কমে গেছে। মিল মালিকরা সরকারি মূল্যে কেন চাল দেবে, যদি ওপেন মার্কেটে বেশি দামে বেচতে পারে।’
সরকারের উদ্দেশে নোমান বলেন, ‘সরকারকে কেন মিল মালিকরা চাল দেয়নি? কারণ, সরবরাহ এবং মজুদ করার সমস্যার জন্য। শূন্য শুল্কে যদি চাল আমদানি করতে দেওয়া হয়, তবে হয়তো একটু হলেও দাম কমবে। কিন্তু মন্ত্রীরা যদি জোর করে, তাতেও সমস্যার সমাধান হবে না।’
‘এ সরকারের কোনো নীতিমালা নেই, পেটোয়া বাহিনী দিয়ে চাল আমদানির চেষ্টা করছে। ফলে অর্থনৈতিক অবস্থা আরো দুরূহ হয়ে গেছে। সরকার বলছে, পদ্মা সেতু নিজের অর্থায়নে করছে। কিন্তু নকশার ভুলে যদি অন্য আরেকটা স্থানে আবার কাজ শুরু করতে হয়, তখন লাভবান হবে আওয়ামী লীগের নেতারা আর কন্ট্রাক্টররা।’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, ‘যদি আমরা বলি এই সরকার দুর্নীতিবাজ, তখন আমাদের দমনের জন্য মামলাসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সরকারের যে দায়িত্ব, তা পালন করতে পারছে না।’
‘তারা চায় ভোটবিহীন আরেকটা নির্বাচন, আমরা ভোটবিহীনভাবে তাদের আর ক্ষমতায় আসতে দিতে চাই না। জনতার শক্তি অ্যাটমের (পরমাণু) চেয়েও বড়। জনতার টাকা লুটপাট করতে দেবো না। আন্দোলন করতে হবে রাজপথে।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি হাজি মো. লিটন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারসহ অন্য নেতারা।