ইমরান এইচ সরকারকে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। আজ বুধবার রাত ১১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে র্যাব-৩ এর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান জানান, অবৈধভাবে জনসমাবেশ করার অপরাধে ইমরান এইচ সরকারকে আটক করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ‘দেশব্যাপী বিনা বিচারে মানুষ হত্যা’র প্রতিবাদে বিকেলে শাহবাগে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ। পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে জড়ো হন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এ সময় ‘নির্বিচারে মানুষ খুনের বিরুদ্ধে জাগো বাংলাদেশ’ স্লোগান দেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে যোগ দিতে ইমরান এইচ সরকার বিকেল ৪টার সময় আসেন। এ সময় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্র ইউনিয়নের একটা কর্মসূচি চলছিল। ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ঘটনাস্থলে একটি মাইক্রোবাস উপস্থিত হয়। মাইক্রোবাস থেকে সাদা পোশাকধারী র্যাবের সাত-আটজন সদস্য ইমরান এইচ সরকারকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এ সময় র্যাবের চারটি গাড়িও সেখানে উপস্থিত হয়।
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে র্যাব সদস্যরা তাদের লাঠিপেটা করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার এই কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা আজ বিকেলে এই কর্মসূচি পালন করতে আসে।
কর্মসূচিতে দাবি করা হয়, সারা দেশে বন্দুক যুদ্ধের নামে নির্বিচারে মানুষ খুন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি সফল করতে ইমরান এইচ সরকার গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের মুঠোফোন বার্তাও পাঠান।
প্রতিবাদ সভা শেষে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই র্যাব সদস্যরা ইমরান এইচ সরকারকে আটক করে নিয়ে যায়।