‘২০৪০ সালে সিগারেটের উৎপাদন নিঃশেষ করা হবে’
বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের ফলে দেশে বিড়ির ব্যবহারকারী কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, বর্তমানে এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যাও আগের তুলনায় কম। তাই এবার সব ধরনের বিড়ির মূল্য বাড়ানো হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের কাজের অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী জানান, এবার বাজেটে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ক্ষেত্রে ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘গত বছর আমরা ঠিক করেছিলাম যে বিড়ি উৎপাদন ২/৩ বছরের মধ্যে নিঃশেষ করা হবে। এ দেশ থেকে তামাক নিঃশেষ করার সীমানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সাল নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই ঘোষণার সঙ্গে সংগতি রেখে বিড়ির উৎপাদন ২০৩০ সালে এবং সিগারেটের উৎপাদন ২০৪০ সালে নিঃশেষ করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।’
সিগারেট শিল্প যেভাবেই হোক, একটি লাভজনক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার উদ্যোগের সঙ্গে দেশীয় উচ্চমানের ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম একসঙ্গে চলতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের কাজ হচ্ছে—১. নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করা নির্ধারণ, ২. মূল্যসীমা নির্বিশেষে এক করহার নির্ধারণ, ৩. ২০ বছরের জন্য একটি দেশীয় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা।’
এবারের বাজেটে আগামী বছর নিম্মতম স্তরের সিগারেটের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩২ টাকা বা তার চেয়ে বেশি। এবং সেখানে সম্পূরক শুল্ক ধরা হয়েছে ৫৫ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৪৮ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৭৫ টাকা ও ১০১ টাকা। এবং এখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ।