বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এনবিআরের কাঁধে
মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে, বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। আগামী অর্থবছরে এনবিআরএর মাধ্যমে দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার কর আদায়ের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
সরকারের আয়ের প্রধান উৎস রাজস্ব। আর এই আয়ের জন্য আগামী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী নির্ভর করছেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রাপ্ত মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের ওপর। সেক্ষেত্রে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষমাত্রা দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকার। বাজেটের ৩৭ ভাগেরও বেশি ভ্যাট থেকেই আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরে বিদ্যমান ৯টি স্তরের পরিবর্তে ভ্যাটের পাঁচটি স্তরের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকাই রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবর্তন আনা হয়নি কর হারেও। বাজেট প্রস্তাবে পরিবর্তন এসেছে করপোরেট কর হারে। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর হার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব এসেছে বাজেটে।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী- যাদের নিজ নামে দুটি গাড়ি আছে কিংবা সিটি করপোরেশন এলাকায় আট হাজার স্কয়ার ফিটের গৃহ-সম্পত্তি আছে, তাদেরও আয়করের ওপর ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে। অন্যদিকে ফেসবুক, ইউটিউব এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ থেকে যে আয় করে, তার ওপর করআরোপের জন্য আন্তর্জাতিক আইনী বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এ ছাড়া প্রচলিত আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা দিয়ে, আগামী অর্থবছরেও কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ থাকবে।