পোল্যান্ডকে হারিয়ে এবার চমক সেনেগালের
২০০২ বিশ্বকাপের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে ফুটবলপ্রেমীদের। প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই চমক দেখিয়েছিল সেনেগাল। উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। শুধু তাই নয়, তখনকার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তারা। এর পর তিনটি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি তারা। দীর্ঘদিন পর আবার খেলতে এসে শুরুতেই চমক দেখিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে ইউরোপের দল পোল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে, ২-১ গোলে।
আজ মঙ্গলবার মস্কোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সেনেগাল প্রথমে আত্মঘাতি গোলে এগেয়ে যায়। পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরুণ স্ট্রাইকার এম’বায়ে নিয়াং।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে আত্মঘাতি গোলটি পায় সেনেগাল জটলা থেকে ফরোয়ার্ড ইদ্রিসা গুয়েইয়ের শট পোল্যান্ডের ডিফেন্ডার থিয়াগো চিওনেকের পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে পোল্যান্ড যখন গোল পরিশোধের চেষ্টা করছিল, তখন আরেকটি গোল হজম করে বসে তারা।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেনেগাল। এবার গোলদাতা এম’বায়ে নিয়াং। পোল্যাল্ডের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের ভুলেই গোলটি পায় সেনেগাল।
গোলরক্ষকের উদ্দেশে ব্যাক পাস করেছিলেন পোল্যান্ডের এক ডিফেন্ডার। আগুয়ান গোলরক্ষক বলটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই পাখির মতো ছোঁ-মেরে বলটি নিয়ে নিয়াং প্রতিপক্ষের জালে জাড়িয়ে উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন দলকে।
অবশ্য শেষ মুহূর্তে পোল্যান্ড একটি গোল করে ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে কামিল গ্রোসিকির চমৎকার ক্রসে গ্রেজর্জ ক্রাইচোইয়াক হেডে বল জালে জাড়ান। পরে ম্যাচে ফেরার শত চেষ্টা করেও পারেনি।
তবে এদিন সেনেগাল অসাধারণ ফুটবল খেলে বুঝিয়ে দিয়েছে এবার তারাও ভালো কিছু করার ক্ষমতা রাখে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ২০০২ বিশ্বকাপের মতো ভালো কিছু করে চমক দেখাতেও পারে তারা।