সাকিব-মুশফিকদের সাফল্যের মন্ত্র ‘নির্ভয়তা’
দারুণ খেলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। গত বছর যে দলটিকে ধুকতে হয়েছিল, হার মেনেছিল আফগানিস্তান-হংকংয়ের কাছে, তারাই কি না ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্ট থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়েছে। এমন দুর্দান্ত সাফল্যের রহস্য কী? বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিশ্বাস, ‘জিততে পারব কি না?’, ‘হেরে গেলে কী হবে’ ইত্যাদি নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নির্ভয়ে মাঠে নামার মানসিকতাই বদলে দিয়েছে সব কিছু।
বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা হতে দেয়নি। বাকি চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতে শেষ আটের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই সাফল্যের ‘মূলমন্ত্র’ জানাতে গিয়ে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমরা ব্যর্থতার ভয় পাইনি। বিশ্বকাপের শুরু থেকে এটাই ছিল আমাদের মূল ভাবনা। যদি আমরা ব্যর্থতার ভয়ে সঙ্কুচিত হয়ে যেতাম তাহলে নিজেদের এগিয়ে নিতে পারতাম না। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নতুন কিছু করার স্বাধীনতা দিয়েছে। এটাই সাফল্যের চাবিকাঠি। শুধু ইংল্যান্ডকে হারানোর দিনেই নয়, স্কটল্যান্ড তিনশর ওপরে রান করার পরও আমরা কিছু করে দেখানোর সংকল্প করেছিলাম।’
বৃষ্টির জন্য বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অনুশীলন বিঘ্নিত হয়েছে। তবে প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কান কোচ শিষ্যদের মানসিকতার প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ, ‘দেশের জন্য কিছু করা ও বিশ্বকাপে ভালো খেলার লক্ষ্যে তারা অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। আজও (বৃহস্পতিবার) তারা অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছে। তবে যতই পরিশ্রম করুক, তাদের কাউকে দেখে কখনোই ক্লান্ত মনে হয় না। এটা দেখতেও খুব ভালো লাগে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের প্রস্তুতি তারা ভালোভাবেই নিয়েছে।’
তবে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশকে যে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে, সাকিব-মুশফিকদের তা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি হাথুরুসিংহে, ‘নিউজিল্যান্ড এই প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল। তারা অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। খেলছেও ঘরের মাঠে। তাদের সঙ্গে লড়াই করাই আমাদের জন্য অনেক বড় পরীক্ষা। আমরা ওদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। ওদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। তাই ভালো সূচনা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’