শাবনূর সময় দিলেই শেষ হবে ‘পাগল মানুষ’
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের শিডিউল না পাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন পরিচালক বদিউল আলম খোকন। ‘পাগল মানুষ’ চলচ্চিত্রের অবশিষ্ট কাজ শেষ করতেই শাবনূরের শিডিউল প্রয়োজন তাঁর। একসময়ের ব্যস্ত এই নায়িকা যদি শুটিংয়ের সময় না দেন তাহলে আর ছবিটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ছবিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক বদিউল আলম খোকন। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক কারণ ২০১২ সালে ‘পাগল মানুষ’ পরিচালনার সময় আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন এম এম সরকার। এই ঘটনার দীর্ঘ বিরতির পর প্রয়াত পরিচালকের একসময়কার সহকারী বদিউল আলম খোকন নতুন করে এই ছবির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেন।
বদিউল আলম খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই শাবনূরকে বলছি শিডিউল দেওয়ার জন্য কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও শিডিউল পাচ্ছি না। এম এম সরকার আমার ওস্তাদ ছিলেন। এই ছবির কাজ শেষ করা এখন আমার দায়িত্ব। এই ছবি শেষ করার জন্য বেশ কয়েক মাস আমি নিজেকে ফ্রি রেখেছিলাম কিন্তু আর পারছি না। সামনে আমার নিজের কাজ ধরতে হবে। আবারও শাবনূরের কাছে লোক পাঠাব। যদি এপ্রিল মাসে শিডিউল পাই তবে ছবিটি আমরা শেষ করতে পারব। অন্যথায় ‘পাগল মানুষ’ ছবির কাজ আর করব না।’
এদিকে, অনেক দিন হলো অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। তবে দীর্ঘবিরতির পর অর্ধসমাপ্ত চলচ্চিত্র ‘পাগল মানুষ’ দিয়ে আবারও বড় পর্দায় ফিরতে চাচ্ছেন তিনি- এমন খবর গত কয়েক মাস আগে তিনিই জানিয়েছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ছবির জন্য আবারও চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ করেই শাবনূর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ‘পাগল মানুষ’ ছবির চুক্তি আপাতত স্থগিত বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন ছবির পরিচালক বদিউল আলম খোকন। পরে অবশ্য শাবনূর সুস্থ হওয়ার পরও নতুন করে আর কোনো চুক্তি করা সম্ভব হয়নি।
‘পাগল মানুষ’ ছবিতে ৯৬টি দৃশ্য আছে। ৯৫টি দৃশ্যের কাজ শেষ। শুধু শাবনূরের একটি দৃশ্যের শুটিং বাকি। ছবিতে গান আছে পাঁচটি, এর মধ্যে দুটি ও একটি আইটেম গানে শাবনূরকে প্রয়োজন। এমন অবস্থায় ‘পাগল মানুষ’কে সুস্থ করতে চাইলে শাবনূরের সেবা দরকার বলে মন্তব্য করেন পরিচালক খোকন। তিনি বলেন, “কমপক্ষে ১২ দিনের টানা শিডিউল পেলে ‘পাগল মানুষ’কে দর্শকের সামনে সুস্থভাবে উপস্থাপন করতে পারব।”
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘পাগল মানুষ’ ছবির শুটিংয়ের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ছবির পরিচালক এম এম সরকার। তাঁর সাথে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদেই অবশিষ্ট কাজে হাত দিচ্ছেন খোকন। পরিচালক খোকন বলেন, ‘এম এম সরকার যখন হাসপাতালে মারা যান তখন ওখানে অনেক টাকা বাকি পড়েছিল। পুরো টাকা প্রযোজনা সংস্থা পরিশোধ করে আর তখনই আমি ঘোষণা দিয়ে এই ছবির দায়িত্ব নেই।’