কফিন কাফন আগেই গেছে, রায়ও গেল কারাগারে
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া রায়ের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটে একটি মাইক্রোবাসে করে রায়ের অনুলিপি নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার আফতাবউজ্জামানসহ চার কর্মকর্তা। সেখানে জেল সুপার ফরমান আলী এবং ডেপুটি জেলার লাভলু অনুলিপিটি গ্রহণ করেন।
এর পাঁচ মিনিট পরেই ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
এর আগে আজ বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে রায়ের অনুলিপি পৌঁছে দেন। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার আফতাবউজ্জামান তা গ্রহণ করেন।
বিধি অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়ার পর কারাগার কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কাজ শুরু করবে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার যাবতীয় প্রস্তুতি গত সোমবারই নিয়ে রেখেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার বিকেলে কারাগারের সামনে দেখা গেছে উৎসুক মানুষের ভিড়। এ ছাড়া গণমাধ্যমের কর্মীরাও জেলগেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য অপেক্ষা করছেন।
কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা কারাগারের দিকে যাচ্ছেন। তাঁরা কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি।
গত সোমবার বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে ধূসর রঙের অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি কফিন কারাগারে ঢোকানো হয়। অ্যাম্বুলেন্সে কাফনের কাপড়ও ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
গত সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কামারুজ্জামানের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন।
কারাবিধি অনুযায়ী শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায় না।