‘ফৌজদারি আইন এখানে প্রযোজ্য নয়’
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য কতটুকু সময় পাবেন—এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ১৯৭৩ সালের বিশেষ আইনের ধারা অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে সরকারের নির্দেশে। ফৌজদারি বা অন্য আইনে যেটাই থাকুক না কেন, তা এখানে প্রযোজ্য হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
সকালে আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করলে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, তা চিন্তা করার জন্য সময় চান মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া এই জামায়াত নেতা। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী তিনি সাতদিন সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি চিন্তাভাবনা করবেন, তার পর যৌক্তিক ও যথাযথ সময়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি যদি আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবারো আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।’
শিশির মনিরের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্য আইনে সাধারণত সাতদিনের কম নয়, ২১ দিনের বেশি নয়—এর মধ্যেই দণ্ড কার্যকর করার নিয়ম রয়েছে; কিন্তু সেটি এ আইনে প্রয়োজ্য নয়।’ প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি প্রাণভিক্ষা চায়, তাহলে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।’
কামারুজ্জামান যে সময় চেয়েছেন তার ‘রিজনেবল সময়’ কতটুকু—তা জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘রিজনেবল (যৌক্তিক) সময় বলতে সাতদিন বোঝায় না; বরং রিজনেবল মানে হচ্ছে একটি মার্সি পিটিশন লিখতে যে সময়টুকু লাগে, ততটুকুই। সুতরাং এ ক্ষেত্রে সরকার চাইলেই দণ্ড কার্যকর করা যাবে।’