দেশের সেবায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রনি তালুকদার
নিজের বাড়িতে ক্রিকেট-পরিবেশে বেড়ে ওঠা। বড় ভাই রাজীব তালুকদার ছিলেন ক্রিকেটার। তাঁকে দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বোনা শুরু। ২০০৫ সালে ধানমণ্ডি মাঠে জালাল আহমেদ চৌধুরীর ক্রিকেট কোচিংয়ে বড় ভাইয়ের হাত ধরেই ভর্তি হওয়া। সেই থেকে শুরু তাঁর ক্রিকেট-জীবন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, ঢাকার প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় লিগে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন নারায়ণগঞ্জের ছেলে রনি তালুকদার, জাতীয় দলের নবাগত ওপেনার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ঘোষিত দলে সুযোগ পেয়ে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান উচ্ছ্বসিত। এই সুযোগ কাজে লাগাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ২৪ বছর বয়সী রনি। প্রথম একাদশে থাকতে পারলে ভালো খেলে দলকে জয় এনে দেওয়ার প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে, ‘জানি না প্রথম একাদশে সুযোগ পাব কি না। তবে সুযোগ পেলে চেষ্টা করব ছোট-বড় যেমনই হোক দলকে ম্যাচ জেতানোর মতো ইনিংস খেলা। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো কিছু করতে পারলে আশা করি জাতীয় দলে জায়গা পাকা হয়ে যাবে।’
গত মাসে শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল রনির। সাত ম্যাচে ১১ ইনিংসে ৭০.৬৩ গড়ে ৭৭৭ রান, ডাবল সেঞ্চুরি দুটি, সেঞ্চুরি একটি—এমন ব্যাটসম্যানকে কি উপেক্ষা করা সম্ভব! নির্বাচকরা তাই তাঁকে দলে রাখতে দ্বিধা করেননি।
জাতীয় লিগ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস জাতীয় দলে ভালো করতে সাহায্য করবে বলেই রনি মনে করেন, ‘গত মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য দারুণ প্রেরণাদায়ক। আশা করি ভালো খেলা থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস জাতীয় দলে আমাকে সাহায্য করবে। তবে সেজন্য আরো অনেক পরিশ্রম করতে হবে আমাকে। অনেক অপেক্ষার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। তাই প্রাণপণ চেষ্টা করব জায়গা ধরে রাখার, জাতীয় দলকে দীর্ঘ সময় সেবা করার। দেশের জন্য কিছু করতে পারলে খুব ভালো লাগবে। সেরাটা দেওয়ার জন্য আমার চেষ্টা আর আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
জাতীয় দলে ডাক পেয়ে ভীষণ খুশি রনি। তবে তেমন অবাক হননি। এই ‘পুরস্কার’ প্রত্যাশিতই ছিল তাঁর কাছে, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার কারণে মনে হচ্ছিল নির্বাচকরা নিশ্চয়ই আমার পারফরম্যান্স বিবেচনা করবেন। বিশ্বাস ছিল একদিন না একদিন সুযোগ আসবেই। সুযোগটা পাকিস্তান সিরিজেই এসে যাওয়ায় খুব ভালো লাগছে।’
উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতার অভাব বাংলাদেশ দলের জন্য বড় এক সমস্যা। এ ক্ষেত্রে ‘ব্যতিক্রমী’ হওয়ার আশাবাদ রনির, ‘ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হলে পরের ব্যাটসম্যানদের কাজ বেশ সহজ হয়ে যায়। তাই প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে আমার লক্ষ্য থাকবে দলকে ভালো একটা ভিত এনে দেওয়ার।’