রিচার্ডসের পাশে ‘অনন্য’ মুমিনুল
মিরপুর টেস্টে হতাশার মাঝে মুমিনুল হকের একটা কীর্তি বাংলাদেশের মানুষকে গর্বিত করবেই। টেস্ট ক্রিকেটে টানা ১১ ম্যাচে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলে ভারতের ব্যাটিং-কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মুমিনুল। ভিভ রিচার্ডসের মতো আরেক কিংবদন্তির পাশেও দাঁড়িয়েছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। টানা ১২ ম্যাচে অন্তত একটি অর্ধশতক করার রেকর্ড আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।
টেস্টে টানা ১০ ম্যাচে অন্তত একটি অর্ধশতক করার কীর্তি গড়েছেন মাত্র ছয়জন। খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮০ রান করে মুমিনুল নাম লিখিয়েছিলেন টেন্ডুলকারের পাশে। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রান করে নিজেকে আরো উঁচুতে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
এত দিন টানা ১১ টেস্টে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলার কৃতিত্ব ছিল ক্যারিবীয় ‘গ্রেট’ ভিভ রিচার্ডস এবং দুই ভারতীয় গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর শেবাগের। এখন তাঁদের পাশে লেখা থাকবে মুমিনুলের নাম। আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ফিফটি করতে পারলে ডি ভিলিয়ার্সের কীর্তি স্পর্শ করবেন তিনি।
ওয়ানডেতে তেমন সাফল্য পাননি মুমিনুল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২৬ ম্যাচে ২৩.৬০ গড়ে করেছেন ৫৪৩ রান। তবে ২৩ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৪ টেস্টের ২৭ ইনিংসে চারটি শতক ও ৯টি অর্ধশতকসহ তাঁর রান ১৩৮০। গড়ও দুর্দান্ত—ঠিক ৬০।
২০১২ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন জগতে মুমিনুলের সদর্প আগমন। পরের ম্যাচেও করেছিলেন অর্ধশতক। নিজের তৃতীয় টেস্টে অবশ্য ফিফটি পেতে ব্যর্থ। পরের মাসেই মানে ২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ২৩ ও ২৯ রান। এরপর থেকে টানা ১১টি টেস্টে অন্তত একটি ফিফটি পেলেন তিনি।