‘পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টায় ছিলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা’
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন সদস্য খালিদ মেহমুদ বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি করেছেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
পুলিশ সুপার জানান, খালিদ মেহমুদ পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ২৬০/বি মিল্লাত টাউনের মো. আরশাদের ছেলে। তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত ৬ মে। তিনি পরিচয় গোপন করে স্থানীয় ওই কারখানায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ বেইস স্থাপনা ও রাডার টেকনোলজির ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
হারুন অর রশিদ ভাষ্যমতে, খালিদ আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি ও স্বর্ণ চোরাচালানসহ বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁকে কারা সহযোগিতা করেছে বা ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে এসব বিষয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
গতকাল রোববার রাতে শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকা থেকে খালিদ মেহমুদকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ভাংনাহাটি এলাকায় ইউনিলায়েন্স নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে।