বাজেট
কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ছে তিন শতাংশের বেশি
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ছে তিন শতাংশের বেশি। এবার এ খাতে ১২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ধরা হয় ১২ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
কৃষি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের কৃষিবান্ধব নীতিকৌশলের প্রভাবে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে আমরা নানা কৃষিপণ্য রপ্তানি করছি।’
এ অর্জনকে ধরে রাখতে চলমান কর্মকৌশলগুলোর কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা, কৃষি উপকরণ সহায়তা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সেচ সুবিধার মাধ্যমে কৃষিজমির আওতা সম্প্রসারণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান, কৃষকদের ডেটাবেইস তৈরীকরণ, কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান, প্রশিক্ষণ, শস্য বহুমুখীকরণ, কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ সহায়ক পরিবেশ সৃজন, জৈবসারের উৎপাদন ও ব্যবহার উৎসাহিতকরণ, বীজ সরবরাহ ইত্যাদির ধারাবাহিকতা বজায় রাখব।
‘কৃষি খাতে বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনার মধ্যে আছে কৃষিঋণের ৬০ শতাংশ শস্য খাতে বিতরণের নির্দেশনা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বর্গাচাষিদের ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম প্রবর্তন, আমদানি বিকল্প ফসল চাষে চার শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋণ প্রদান ইত্যাদি। এ কথাটি ভুললে চলবে না যে, কৃষি খাতে অগ্রগতির মূলে রয়েছে উন্নত কৃষি গবেষণা।’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
কৃষি গবেষণার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল শস্যের জাত উদ্ভাবন, অভিযোজন কৌশল ও পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং লবণাক্ততা, জলমগ্নতা ও খরাসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনসহ সার্বিক কৃষি গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’