পুনর্জাগরণের রেলপথে যোগ হবে মেহেরপুর
রেলপথের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকার ২০ বছর মেয়াদি একটি মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছে। সরকার আশা করছে, এর মধ্য দিয়ে রেলওয়ের পুনর্জাগরণ ঘটবে। রেলপথের এই মাস্টারপ্ল্যানে নতুন জেলা হিসেবে মেহেরপুর যুক্ত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে এসব কথা বলেন। আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে মোট সাত হাজার ৮৩৯ কোটি ৩০ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
রেলপথ উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিশ্বব্যাপী রেলপথ নির্মাণ শুরু হয়। প্রায় একই সময়ে আমাদের দেশেও রেলপথ নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশে একসময়ে রেলপথ ও জলপথই ছিল যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম। অধুনা সেই ভূমিকা মূলত সড়ক পরিবহনই গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে জলপথ অনবরত সংকুচিত হয়েছে এবং রেলপথের ব্যবহার ও সংরক্ষণ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
‘আমরা রেলপথের পুনর্জাগরণের কৌশল গ্রহণ করেছি এবং রেল খাতে যে বিনিয়োগ আছে তার যথাযথ ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছি। ২০ বছর মেয়াদি একটি রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করেছি এবং সেখানে ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।’
সরকারের রেলপথ উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহের মধ্যে আছে, দোহাজারী-কক্সবাজার-গুনধুম, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া- গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া, পাচুরিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা, ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর এবং খুলনা-মংলা নতুন রেললাইন নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ, মেহেরপুর জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল সার্ভিস চালু করা, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তরে রেলসেতু নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ ইত্যাদি।’
অন্যদিকে, আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ‘আখাউড়া-আগরতলা’ রেল কানেকটিভিটি স্থাপনের কথাও জানান অর্থমন্ত্রী।