বখতিয়ারই গুলি চালিয়েছে, প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ
সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির পিস্তলের গুলিতেই ঢাকার নিউ ইস্কাটনে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। ব্যালাস্টিক পরীক্ষা এবং আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
urgentPhoto
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা জানিয়ে বলেন, খুনি হিসেবেই তাঁর (বখতিয়ার আলম রনি) শাস্তি হবে।
গত ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। গত ৩১ মে রনির সঙ্গে তাঁর চালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে ১ জুন ইমরান আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর রনিকে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে রনির পিস্তল ও নিহতদের শরীরে বিদ্ধ বুলেট ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানোর পর প্রমাণ হয় রনি নিজেই তাঁর পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়েন।
আজ শুক্রবার পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিকটিমের শরীরে যে বুলেটের অংশ পাওয়া গিয়েছিল, তা ব্যালেস্টিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেটির রিপোর্ট গতকাল হাতে পাওয়া গেছে। সেই রিপোর্টে মিল রয়েছে। অস্ত্রের গুলি ও ভিকটিমের শরীরে পাওয়া গুলি একই ক্যালিবারের। একই অস্ত্র দিয়েই গুলি করা হয়েছে।’
ঘটনার সময় বখতিয়ার আলম রনির গাড়িতে থাকা তাঁর দুই বন্ধু কামাল মাহমুদ ও টাইগার কামালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। খুনের মূল আসামি রনি ও তাঁদের বক্তব্যের মিল পাওয়া গেছে বলেও পুলিশ জানায়।
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একজন আসামি ও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনায় হুবহু মিল পাওয়া গেছে। এখানে আসামি গাড়ির চালক ইমরান ফকিরের জবানবন্দি, সাক্ষী হিসেবে কামাল মাহমুদ ও টাইগার কামালের জবানবন্দি এই তিনটি জবানবন্দির মধ্যে হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, একজন খুনি হিসেবে রনির উপযুক্ত শাস্তি হবে। প্রয়োজনে রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডে নেওয়া হবে।