সমতার জন্য চাই ১৭০ রান
উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান করে বাংলাদেশকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। এর পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দারুণভাবে। তবে শেষ দুই ওভারে ৩২ রান করে বড় স্কোর গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৭০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৯ রান।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। শুরুটা ঝড়ো গতিতে করেছিলেন দুই ওপেনার ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্স। ১১তম ওভারে ডি কককে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন আরাফাত সানি। ৩১ বলে ৪৪ রান করেছেন ডি কক।
পরের ওভারে জেপি ডুমিনি (৬) ও ডি ভিলিয়ার্সকে আউট করে প্রোটিয়াদের চাপের মুখে ফেলেছেন নাসির হোসেন। ডি ভিলিয়ার্স আউট হয়েছেন ৪০ রান করে। চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন অধিনায়ক ডু প্লেসি ও ডেভিড মিলার। ১৮তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে ডু প্লেসিকে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক।
তবে সাকিব আল হাসানের করা ১৯তম ওভারে ১৯ রান নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন মিলার ও রাইলি রুসো। শেষ ওভারে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ১৩ রান। ৬ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন রুসো। মিলারের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৩০ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে রনি তালুকদারের। সোহাগ গাজীর পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও আছে একটি পরিবর্তন। কাগিসো রাবাদার পরিবর্তে দলে এসেছেন এডি লেইয়া। তাঁরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচ দিয়ে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫২ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।