সিম কার্ডের দিন শেষ!
স্মার্টফোন ব্যবহারে এখনো আমরা সিম নামক একট টুকরো পাতলা প্লাস্টিকের ওপর নির্ভর করি। তবে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে এমন সিম কার্ড আর নাও থাকতে পারে। প্লাস্টিকের সিম কার্ড প্রয়োজন হবে না এমন মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে স্মার্টফোনের বাজারের সিংহভাগই দখল করে থাকা স্যামসাং ও অ্যাপল।
ইলেকট্রনিক সিম কার্ড বাজারে এলে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের সেবা পরিবর্তন করা বর্তমানের চেয়ে অনেক সহজ হবে। যখন খুশি পরিবর্তন করা যাবে মোবাইল অপারেটর।
বর্তমানে বাজারে থাকা প্লাস্টিকের সিম কার্ডে ব্যবহারকারীর তথ্য, ফোন নম্বর ও মোবাইল সেবা বিষয়ে তথ্য থাকে। মোবাইল অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে সাধারণত নতুন একটি সিম কার্ড কিনতে হয়। যেমন—কেউ রবি থেকে গ্রামীণে যেতে চাইলে নতুন করে একটি গ্রামীণফোনের সিম কার্ড কিনতে হয়। ইলেকট্রনিক সিম কার্ডের কাজ হবে ভিন্ন রকম। এটি মোবাইল থেকে আলাদা করা যাবে না। তবে যখন খুশি মোবাইল অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে। যেমন রবি থেকে গ্রামীণে যেতে চাইলে ফোনে একটি নির্দেশ দিলেই হবে।
ইলেকট্রনিক সিম কার্ডে কীভাবে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে আগামী বছর বাজারে এলে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে যাবেন গ্রাহক।
আর ইলেকট্রনিক সিম কার্ড এলে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এদের সেবায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, যেকোনো মুহূর্তে গ্রাহক তাদের ছেড়ে অন্য কোনো অপারেটরে যোগ দেবেন। তাই গ্রাহকসেবার মান বেড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যামসাং ও অ্যাপল তাদের স্মার্টফোনে ইলেকট্রনিক সিম কার্ড চালু করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্লাস্টিকের বদলে ইলেকট্রনিক সিম ব্যবহার হলে বিভিন্ন মুঠোফোন সেবা দ্রুত পরিবর্তন করা যাবে।
মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন জিএসএমএ জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক সিম কার্ডের বিষয়ে শিগগিরই একটি সমঝোতা হতে যাচ্ছে। তবে আগামী বছরের আগে এটি গ্রাহক পর্যায়ে আসছে না।
এক বিবৃতিতে জিএসএমএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক সিম কার্ডের প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ইলেকট্রনিক সিম কার্ড চালু হলে দূর থেকেও সিম কার্ডের বিষয়ে ভোক্তার কোনো সমস্যার সমাধান দেওয়া যাবে।
জিএসএমএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যানি বোভেরট বলেন, ইলেকট্রনিক সিম কার্ডের নিরাপত্তা বিষয়ে সংগঠনটি অ্যাপলের সঙ্গে আলোচনা করছে। সংগঠনের সদস্যরা একমত হয়েছেন এবং একই সঙ্গে অ্যাপল ও স্যামসাং তাদের সঙ্গে সম্মত হয়েছে।