জাবি সংকট : সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চান শিক্ষামন্ত্রী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সংকট সমাধানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে বলেন এবং দুর্নীতির বিষয়ে প্রমাণ মিললে উপাচার্যকে অপসারণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে জাবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে টানা আট দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার সারাদিন চলে পূর্বঘোষিত টানা অবরোধ কর্মসূচি। বিকেল ৩ টায় ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’এ আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হয় বলে এনটিভি অনলাইনের প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিন।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম তালুকদার ও সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চেয়েছেন। আমরা কয়েকদিনের মধ্যে লিখিত অভিযোগ দেব।’
রায়হান রাইন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছেন, তিনি নিজের জায়গা থেকে কাজ করবেন। পাশাপাশি আমাদেরও ইতিবাচক জায়গা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা বলেন। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি ছাড়া শুধু অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে পারি না। উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. দিদার বলেন, ‘অবরোধের সমর্থনে প্রায় সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রয়েছে। এ কর্মসূচি উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় অবরুদ্ধ ছিল। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থীর জরুরি ভিত্তিতে সনদপত্র উঠানোর জন্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দুপুরে তালা খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখলাম আমরা তালা খুলে দেওয়ার পরও প্রশাসন তাদের তালা মেরে দিয়ে বলল এখান থেকে সনদপত্র উঠানো যাবে না। এখানে স্পষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এ রকম ন্যক্কারজনক কাজের নিন্দা জানাই।’