জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার মূলে তিক্ত সম্পর্ক : বিএনপি
বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত জিএসপি সুবিধা না দেওয়ার খবরে বিএনপি উদ্বিগ্ন। দলটি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক সম্পর্কের তিক্ততার’ কারণেই শুল্কমুক্ত জিএসপি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। urgentPhoto
শুল্কমুক্ত জিএসপি সুবিধা না দেওয়ার দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও যুদ্ধবিধস্ত আফিগানিস্তানের নাম থাকলেও- শুল্কমুক্ত জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশসমূহের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। বিশ্বের ১২২টি দেশ এই সুবিধা পেলেও বাংলাদেশ কেন বঞ্চিত থাকল- তার ব্যাখ্যা সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে।’
‘পত্রিকান্তরে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার মূলে আসলে তিক্ত সম্পর্ক কাজ করছে। সরকার ও বিশিষ্টজনদের ভাবনা থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬ দফা বাস্তবায়নে যতটা অগ্রগতি হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের তিক্ততা ততটা কাটেনি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনেক বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব বেড়েছে বলে ধারণা করা হয়।’
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকারের উচিত হবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া এবং যেসব কারণে এই তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে- তার অবসান ঘটানো।’
সরকারের ভুলনীতি এবং প্রতিহিংসার কারণে বাংলাদেশের নোবেল জয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক আজ ধ্বংসের পথে বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিদ্বেষ থেকে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় যে তোঘলকি নীতি অনুসরণ করছে- তাতে এই গৌরবজনক প্রতিষ্ঠানটিতে এক কঠিন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সংকট নিরসনে সরকারের কোনো পদক্ষেপই এখন আর বাস্তবায়িত হচ্ছে না- যার ফলে সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই বিশেষায়িত ব্যাংকটি।’
বিএনপির মুখপাত্র আরো বলেন, সরকার তার পছন্দের মনোনীত পরিচালকদের দিয়ে ব্যাংকটিকে নিজেদের আয়ত্বে নেওয়ার জন্য নির্বাচিত পরিচালকদের ভূমিকা-কর্তৃত্বলোপে যে নীতি একের পর এক অনুসরণ করে চলেছে- তাতে বিশ্বব্যাপী এই মর্যাদাকর প্রতিষ্ঠানটি এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার পথে।’