আপিল বিভাগে লতিফ সিদ্দিকী, শুনানি রোববার
সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া চিঠির বৈধতার প্রশ্নে করা রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আপিল বিভাগে গেছেন। আজ বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে ইসির নোটিশ স্থগিতের আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষের আইনজীবী। আগামী রোববার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির বৈধতা প্রশ্নে করা রিট আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে দুপুরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে লতিফ সিদ্দিকী আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আবেদনকারীর শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আগামী রোববার প্রধান বিচারপতির নেত্বত্বে আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিন নির্বাচন কমিশনে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রোববার আপিল বিভাগে শুনানি হবে, তাই এটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের শুনানি স্থগিত থাকবে।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এর ফলে আগামী ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে তাঁকে অংশ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে সকালে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের বিধি অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে শুনানি করে ব্যবস্থা নিতে পারবে। ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন অফিসে তাঁর সংসদ সদস্যপদের বিষয়ে শুনানি হবে।
অন্যদিকে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
গত জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
পরে ২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাব পাঠান লতিফ সিদ্দিকী। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে শুনানি করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই। কেননা, তিনি এখনো আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করলেও তিনি নিজে দল থেকে পদত্যাগ করেননি বা অবসর নেননি। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেননি, তাই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হয়নি।