দুই সপ্তাহ সময় পেলেন লতিফ সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে লিখিত ও মৌখিকভাবে সময় চেয়ে আবেদন করার পর কমিশন তাঁকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
urgentPhoto
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এ সময়ের মধ্যে তিনি যদি আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং সেই তথ্য আমাদের কাছে আসে, তাহলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনের শুনানি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ বিষয়ে শুনানি স্থগিত করার অনুরোধ করেছি। আমার পদত্যাগপত্রটি স্পিকারের কাছে জমা দেব। আমি বুঝতে পেরেছি, আমার নেতা চান না আমি এ নিয়ে আর আইনি লড়াই করি। আমি নেতার ভক্ত, তাঁর আদেশ মেনে আমি আর আইনি লড়াই করব না।’
সাবেক এই মন্ত্রীর সংসদ সদস্যপদ বাতিল প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। শুনানিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এতে নেতৃত্ব দেন দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
শুনানি থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে আইনজীবী রিয়াজুল কবির কাউসার সাংবাদিকদের বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করেছিলেন। যেহেতু তিনি এখন আর আওয়ামী লীগের কেউ নন, তাঁর সদস্যপদ নেই; আইন অনুযায়ী তিনি এখন আর সংসদ সদস্য নন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে শুনানিতে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী, আবু হাফিজ ও মো. শাহ নেওয়াজ।
এর আগে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের আদেশের ওপর ‘নো অর্ডার’ দেন আপিল বিভাগ।
গত জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। পরে ২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাব পাঠান লতিফ সিদ্দিকী। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে শুনানি করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই। কেননা, তিনি এখনো আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করলেও তিনি নিজে দল থেকে পদত্যাগ করেননি বা অবসর নেননি। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেননি, তাই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হয়নি।