ইউরোপ-শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেলেন মেসি
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বারবার হতাশ হতে হলেও ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে দারুণ একটা মৌসুমই কাটিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার হয়ে জিতেছিলেন মৌসুমের বড় তিন শিরোপা—লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়নস লিগ। সেই দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পুরস্কারটাও পেয়ে গেলেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বৃহস্পতিবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
urgentPhoto
২০১১ সালে উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার প্রথমবারের মতো জিতেছিলেন মেসি। মাঝের তিনটি বছর মেসির শ্রেষ্ঠত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন তাঁর বার্সা সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু এবার আবার ইউরোপসেরার মুকুট উঠেছে মেসির মাথায়। তিনিই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুবার জিতেছেন ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। মেসি অবশ্য এ কৃতিত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা পুরস্কার হাতে নিয়ে বলেছেন, ‘পুরস্কারটা জিততে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার সব সতীর্থকে। কারণ, তাঁদের জন্যই আমি এটা জিততে পেরেছি। অন্য সবকিছুর মতো এটার ক্ষেত্রেও দলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
বিপুল ভোট ব্যবধানে জয়ী হয়ে ইউরোপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার হাতে তুলেছেন মেসি। চূড়ান্ত রাউন্ডে তিনি পেয়েছেন ৪৯টি ভোট। আর মাত্র তিনটি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মেসিরই বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। তৃতীয় স্থানে থাকা রোনালদো পেয়েছেন মাত্র দুটি ভোট। ২০১১ সালে এই পুরস্কার চালু হওয়ার পর এত ভোট ব্যবধান আর কখনোই দেখা যায়নি।
ইউরোপের বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন জার্মানির সেসিলা সাসিচ। গত মাসে অবসরে যাওয়া সাসিচ ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও জার্মান লিগ শিরোপা। মেয়েদের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছিল তাঁর হাতে।