শাহাদাতের শাস্তি হওয়া উচিত : বিসিবি সভাপতি
১১ বছর বয়সী হ্যাপির শরীর আর মুখে আঘাতের চিহ্ন। দেখলে যে কেউ শিউরে উঠবে। ভাগ্যাহত মেয়েটির ছবি দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানও মর্মাহত। ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর হাতে গৃহকর্মী হ্যাপির নির্যাতনের খবর পত্রিকায় পড়েছেন তিনি। বিসিবি সভাপতির মতে, শাহাদাত এমন ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।
শনিবার রাতে গত মৌসুমের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক স্পোর্টিং ক্লাবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার পক্ষে নই। এটা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং জঘন্য কাজ। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শাহাদাত এমন অন্যায় করে থাকলে অবশ্যই তাঁর শাস্তি পাওয়া উচিত।’
গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় শাহাদাত এখন পলাতক। অথচ কয়েক দিন আগেই তিনি বিসিবির সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন! এ প্রসঙ্গে নাজমুল হাসানের বক্তব্য, ‘হ্যাঁ, শাহাদাত আমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। কিন্তু আমি তার সঙ্গে দেখাও করিনি, কথাও বলিনি। কারণ, আমি এ ব্যাপারে তাকে কোনো সহযোগিতা করতে পারব না।’
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাহাদাতের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি, ‘এখানে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আইন অনুযায়ীই তার বিচার হবে। এখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই।’
এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত শাহাদাতের ক্রিকেটের বাইরে থাকার পক্ষে বিসিবি সভাপতি, ‘এ ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার ক্রিকেটের বাইরে থাকা উচিত। অবশ্য বিসিবির সভাতেই শাহাদাতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত রোববার শরীর ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্নসহ হ্যাপিকে উদ্ধার করেন মিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুটির অভিযোগ, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাকে নির্যাতন করেছে। সেদিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
রোববার রাতেই মিরপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।