বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ পিএসসির আদলে
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে নতুন একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আদলে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন বা নন-গভর্নমেন্ট টিচার সিলেকশন কমিশন (এনটিএসসি) গঠন করা হবে।
আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই। বিদ্যমান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিলতা ও এতে আর্থিক কেলেঙ্কারির সুযোগ রয়েছে। অনেক প্রার্থী ও নিয়োগকর্তা অনৈতিক পথ অবলম্বন করেন। ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান না। এ জন্য আমরা এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, পিএসসি যেভাবে সারা দেশে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, সেভাবে সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। খুব শিগগির এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। তবে এই কমিশন গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমানে যে প্রক্রিয়া আছে, সেভাবেই নিয়োগ কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হলেও শিক্ষক নিয়োগের জন্য উপজেলাভিত্তিক একটি মেরিট লিস্ট থাকবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ আছে সেখানে উপজেলাভিত্তিক মেরিট লিস্ট থেকে শিক্ষক পদায়ন করা হবে। এই কমিশন গঠন করার জন্য এর আগের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন, পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০০৬-এ কিছু সংশোধন আনা হবে। এই সংশোধনীর আগ পর্যন্ত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরাও শিক্ষক হওয়ার তালিকায় থাকবেন। তবে সামনের পরীক্ষাগুলো সব এনটিএসসির মাধ্যমেই নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
নতুন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কারণ হিসেবে আর্থিক অনিয়ম, কেলেঙ্কারি ও অযোগ্যদের নিয়োগ পাওয়াকে উল্লেখ করেন শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া আগে নিবন্ধন পরীক্ষা থাকলেও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এ প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে এবার সেসব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।