গো-মাংস রপ্তানিতে মোদির বন্ধুরা!
গরু রক্ষার অজুহাতে সারা ভারতে গো-মাংস নিষিদ্ধের পরিকল্পনা হচ্ছে যাঁর নেতৃত্বে, তাঁর বন্ধুরাই এর ব্যবসায়ী। সম্প্রতি এ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সরব আলোচনা চলছে।
urgentPhoto প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে বলেছিলেন, তাঁর কয়েকজন জৈন বন্ধু গরুর মাংস রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এবিপি নিউজ টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছিলেন।
কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশে গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের হাতে এক মুসলিমের মৃত্যুর ঘটনায় সারা বিশ্বে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারো বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে।
২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল ইউটিউবে মিডিয়াওয়াচের পোস্ট করা ২০ মিনিটের সাক্ষাৎকারের এই ভিডিওচিত্রে মোদিকে এ কথা বলতে দেখা যায়। ‘ঘোষণাপত্র মেঁ নরেন্দ্র মোদি’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠান উপস্থাপনের এক প্রশ্নের জবাবে মোদির এই স্বীকারোক্তি বেরিয়ে আসে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সময় গরু মাংস রপ্তানি বেশি হয়েছে এবং তাঁর সরকার কেন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না? উপস্থাপকের এ প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, ‘মেরি কায়ি জৈন মিত্র হেঁ.. জো ইস ব্যাপার (গো-মাংস রপ্তানি) মেঁ হেঁ….(আমার কয়েকজন জৈন বন্ধু রয়েছেন, তাঁরা এ ব্যবসা সঙ্গে জড়িত।’
ইউটিউব থেকে জানা যায়, এ বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আকাশ জৈন আবারো এই ভিডিও আপলোড করেন। এর পর গত ৫ অক্টোবর হোলি ইন্ডিয়া এটি আপলোড করে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তিতে জৈন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় মোদি অনেকবার ‘গোলাপি বিপ্লব’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। ভারতে অমুসলিমদের গরুর মাংস রপ্তানির ব্যবসার খবর গোপন কিছু নয়। অমুসলিমরা শুধু এ ব্যবসাই করছেন না, এতে অনেক মুনাফাও করছেন, এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। বিগত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের তুলনায় মোদি সরকারের আমলে ১৫ শতাংশ গরুর মাংস রপ্তানি বেড়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।