কামরুলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করা হবে
শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তাঁকে নিয়ে সড়কপথে ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছায় পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান বলেন, ‘শিশু রাজন হত্যার প্রধান আসামি কামরুলকে অবশেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কামরুলকে হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দিন, উপকমিশনার রেজাউল করিম, অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমত উল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে কামরুল ইসলামকে এসএমপির কোতোয়ালি থানা হেফাজতে রাখা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় পুলিশের তিন সদস্যের টিম। পরে সন্ধ্যার দিকে সড়কযোগে সিলেটের পথে রওনা দেয় পুলিশ।
সৌদিতে যাওয়া ওই টিমের সদস্য হচ্ছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমত উল্লাহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
গত সোমবার পুলিশ কর্মকর্তারা কামরুলকে দেশে ফেরাতে সৌদি আরব যান। ইন্টারপোলের মাধ্যমে কামরুলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনকারীরা ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও কামরুলকে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।