বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইয়ুবী প্রশাসন দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে : আনু মুহাম্মদ
‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিহিংসামূলক শাস্তি প্রত্যাহার এবং প্রশাসনের দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইয়ুব আমলের অনুরূপ প্রশাসন দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বায়ত্বশাসন ও গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনা করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অধ্যাপন আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জায়গা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সবার। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি কারাগার, দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয় তাহলে একটি গোষ্ঠী লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো দেশ।’
এ সময় তারা তিন দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো ১. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। (২) খুলনাসহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের যেসব অভিযোগ আছে তার তদন্তের জন্য আচার্য ও সরকারের কাছে দাবি জানাই। (৩) সব বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্ত্বশাসন ও গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবির জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময় বেঁধে দেন। তা না হলে পুনরায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সুমন, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।