মামুনুল হকের ঘটনায় ফেসবুকে পোস্ট, দুই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ও অন্যের পোস্ট শেয়ার করায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে। ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত’ থাকার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যহতি পাওয়া নেতারা হলেন সোনাইছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আজিজুল হক এবং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন সালেহ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য আজিজুলকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কাছে আসা আজিজুলের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, তিনি মাওলানা মামুনুল হকের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে মিথ্যা ও তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।’
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ বলেন, ‘গিয়াসের উদ্দিন তাঁর ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করা পোস্টের স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘একজন প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সংসদে দাঁড়িয়ে আল্লামা মামুনুল হক সাহেবের নামে মিথ্যা অপবাদ দিতে পারেন।’
ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুল হক দলের নেতাদের কাছে জানিয়েছেন, ওই দিন মুঠোফোনটি তাঁর এক মামার কাছে ছিল। স্ট্যাটাসগুলোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
এছাড়া গিয়াস উদ্দিনের দাবি, তাঁর মুঠোফোনটি হারিয়ে গেলে তাঁর অজান্তে এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল বিকেলে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীসহ (মামুনুল হকের দাবি স্ত্রী) অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে হেফাজতের কর্মীরা এসে হামলা ও ভাঙচুর করে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ এপ্রিল রোববার সংসদে সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে সংগঠনটি ‘অপবিত্র’ কাজ করছে। সংগঠনটির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।