শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : তদন্ত কমিটির গণশুনানি
নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে এসকেএল-৩ জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুস সাত্তার শেখ জানান, গণশুনানিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। প্রত্যেকের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তা বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট আকারে সাতদিনের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শীতলক্ষ্যায় এসকেএল-৩ জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। লঞ্চের যাত্রীরা চিৎকার করে থামতে বললেও জাহাজটি লঞ্চের ওপর দিয়ে চলে যায়। নদীপথে আইন কঠোর করা হলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে বলে জানান তাঁরা।
গণশুনানিতে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান খাদিজা তাহেরা ববি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন সিদ্দিকী, নৌপুলিশ কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
গত রোববার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বিকেল ৬টায় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যা নদীর সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় গেলে পেছন থেকে একটি লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ও নৌ-পুলিশের সদস্যেরা। যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির এই ঘটনায় মোট ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।