সাক্ষ্য দিলেন কনস্টেবল আসাদুল
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ‘জব্দ তালিকার’ সাক্ষী কনস্টেবল আসাদুল হক। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
আজ সকালে অভিযোগপত্রের জব্দ তালিকার সাক্ষী কনস্টেবল আসাদুল হক হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেন। বিচারক আগামী ১৫ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী মো.ফয়সাল ভূইয়া অনি এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত। আরো ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে।
মো.ফয়সাল ভূইয়া আরো বলেন, কনস্টেবল আসাদুল হক জব্দ তালিকা প্রস্তুতের সময় সাক্ষী হিসেবে নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি চলাকালীন বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন- নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)। এঁদের মধ্যে রানা পলাতক রয়েছেন। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ মামলায় বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন।