ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের সাক্ষ্য
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।
আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সকালে ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হন। তিনি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছিলেন।
এদিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুখ আহমেদ আজ ম্যাজিস্ট্রেটকে জেরা করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামীকাল সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী মো. ফয়সাল ভূঁইয়া অনি এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত। আরো ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে।’
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এর মধ্যে রানা পলাতক। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ও কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচারকাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।