বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.২ ভাগ, মূল্যস্ফীতি ৫.৩ ভাগ
করোনাপরবর্তী পরিস্থিতি উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক দুই শতাংশে নিয়ে যেতে চায় সরকার। অপরদিকে মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক তিন শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বাজেটে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট উত্থাপন বক্তৃতায় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক দুই শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হবে মর্মে আশা করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য’ ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছি। এবারের বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবারে বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাত দশমিক দুই শতাংশ রাখার প্রস্তাব করছি।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, ‘কোভিড পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক দুই শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হবে মর্মে আশা করছি।’
সরকার বলছে, করোনাভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পরও প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যের গতি প্রকৃতিও ‘আশানুরূপ’। ফলে সামনে ভোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সেবা খাতে চাঙ্গাভাব সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হবে। তাতে প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।