প্রথমে মুজাহিদ, পরে সাকা চৌধুরী আবেদন করেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে যে আবেদনটি করেছিলেন তা লেখা হয়েছিল ইংরেজিতে। এর শেষ লাইনে সংবিধানের ৪৯ ধারা অনুযায়ী তাঁর বিষয়টি বিবেচনা করতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
আজ রোববার এসব কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে রায় কার্যকর বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
urgentPhoto
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছিলাম যে এঁরা হয়তো ক্ষমা চাইবেন না। তা আমরা ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম যে কীভাবে তাঁর রায় কার্যকর হবে। কিন্তু আমরা তখন দেখলাম যে সকালের দিকে প্রথমে মুজাহিদ সাহেব আর্টিকেল ফরটি নাইন (সংবিধানের ৪৯ ধারা) হিসেবে তিনি তাঁর আবেদনটা মঞ্জুর করার জন্য। এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদনটা ইংরেজিতে লেখা। শেষ লাইন দুটো ঠিক সেই রকমই আর্টিকেল ফরটি নাইন অনুযায়ী তাঁকে কনসিডার করার জন্য।’
রায় বাস্তবায়ন না করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ ছিল উল্লেখ করে এক সাংবাদিক সে সব দেশের নাম জানতে চান। তখন সুনির্দিষ্ট দেশ বা প্রতিষ্ঠানের নামের কথা এড়িয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স দিয়ে বলছি, প্রধানমন্ত্রী কোনো চাপে, কোনো রিকোয়েস্টে তাঁর রাস্তা থেকে তিনি কোনোদিন সরে দাঁড়ান না। তিনি যেটা ন্যায্য, যেটা জনগণের উপকারে আসবে, জনগণ যেখানে বিশ্বাস করে তার থেকে তিনি বিচ্যুত হন না। কাজেই চাপ এবং কোনো রিকোয়েস্ট, অন্যায় আবদার এগুলোতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিচলিত হন না। অনেকেই অনেক কথা বলেছে। অনেকেই অনেক কিছু করেছে। কিন্তু আমাদের জায়গা থেকে আমরা বিচ্যুত হইনি।’
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাননি বলে তাঁদের পরিবার যে দাবি করছে তাকে ভিত্তিহীন বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।