বিএনপিনেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন স্থগিতই থাকল
নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
তবে স্থগিতাদেশ বহাল রাখলেও ২০১৩ সালের মামলায় এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।
হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মামলার সর্বশেষ পুলিশ প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল দাবি বলেন, এ মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অন্যসব মামলায় আসলাম জামিন পেয়েছেন। এ মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক রাখা হয়েছে।
গত ৩০ মে রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানার নাশকতার এ দুই মামলায় আসলাম চৌধুরীকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গত ৬ জুন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০ জুন পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিলের আবেদন করতে বলেন। আজ আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এ দুই মামলার জামিন স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।
২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।
‘ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে নাশকতা, চেক প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামি হন আসলাম। অন্যান্য মামলায় তিনি আগেই জামিন পেয়েছেন বলে জানান তাঁর আইনজীবীরা।