অক্সিজেন সংকট নিয়ে ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেই দেখা দিতে পারে অক্সিজেন সংকট। তাই যেকোনো সংকটাপন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকেই অক্সিজেন নিয়ে ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অক্সিজেন সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এরইমধ্যে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে। তবে সংকট এড়াতে করোনার বিস্তার কমিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে নিয়মিত করোনা বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এসব কথা বলেন।
ডা. রোবেদ আমিন আরও বলেন, দেশে যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন হয় এটা দিয়ে এখনও অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসে রোগী বেড়ে গেলে অক্সিজেন সংকট দেখা দিতে পারে। প্রতিবেশী ভারতে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ার পরিস্থিতির মধ্যে দেশটিতে অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে অনেক রোগী। দেশে এমন পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সরকার আগে থেকেই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমানে সময়ে অক্সিজেনের চাহিদা কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, সারা দেশে অক্সিজেনের চাহিদা ১২০ থেকে ১৫০ টনের মতো। তবে সংক্রমণ বাড়লে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়বে। অক্সিজেনের চাহিদা আমরা দেখেছি এপ্রিল মাসে যখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছিল, তখন দৈনিক চাহিদা ছিল প্রায় ১৯০ টন।
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের দেশে যেসব অক্সিজেনের প্ল্যান্ট রয়েছে, সেগুলো যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত। অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লিনডে ও ইসলাম অক্সিজেন মেডিকেলে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এদের থেকে নিয়েই আমাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তবে সংক্রমণের চাহিদা বাড়ার কারণে এ ছাড়া অন্যান্য কোম্পানি যারা শিল্প-কারখানার জন্য অক্সিজেন তৈরি করে, তাদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, আবুল খায়ের গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি ইস্পাত কোম্পানিও শিল্প-কারখানার জন্য অক্সিজেন উৎপাদন করে থাকে। তাদের সঙ্গেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যোগাযোগ করছে। আমাদের মহাপরিচালকের নিজস্ব উদ্যোগের কারণে আবুল খায়ের গ্রুপ এগিয়ে আসছে। করোনা সংক্রমণ বাড়লে তাদের অক্সিজেন দিয়েই দেশের অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো সম্ভব।