ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জামিন মিললেও এখনি মুক্তি পাচ্ছেন না নাসির-অমির
চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি জামিন পেলেও আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় এখনি তাদের মুক্তি মিলছে না।
আজ মঙ্গলবার আদালতের সরকারি কোঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ নাসিরউদ্দিন ও অমিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে সাভার থানা পুলিশ। এই সময়ে তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নাসির-অমির আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা জামিনের আদেশ দেন।
আনোয়ারুল কবির বাবুল আরও বলেন, তবে নাসির বিমানবন্দর থানার মাদকের একটি মামলায় ও অমি বিমানবন্দর ও দক্ষিণখানের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাঁরা সে সব মামলায় জামিন না পাওয়া পর্যন্ত মুক্তি পাবেন না।
এর আগে গত ২৩ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরী মণি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদের তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে অমির সঙ্গে যান। সে সময় তাঁকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন ক্লাবের কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ।
গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরী মণি। তিনি দাবি করেছেন যে, ছয়জন তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত ১৩ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
সংবাদ সম্মেলনে এই নায়িকা জানান, তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজ বাসায় তিনি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছেন না। ঘটনার পর ভোর রাতে বনানী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান এই অভিনেত্রী।
পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ পরী মণির মামলা গ্রহণ করে। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের মাদক মামলায় রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় নাসির ও অমিকে রিমান্ডে নেয় সাভার মডেল থানার পুলিশ।