বাংলাদেশ দলের অলিম্পিক যাত্রা
১৯৮৪ সাল থেকে অলিম্পিক গেমসে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত নয়টি গেমসে অংশ নিয়েছে লাল-সবুজের দল। কিন্তু এখনও একটি পদক পায়নি বাংলাদেশ। এবার পদক ভাগ্য খুলে কি না সেটাই দেখার।
৩২তম অলিম্পিকে অংশ নিতে আজ শনিবার জাপানে পৌঁছেছেন আরচার রোমান সানা, দিয়া সিদ্দীকি ও শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি।
তাঁদের সঙ্গে আছেন আরচ্যারির টিম লিডার কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, কোচ মার্টিন ফ্রেডেরিক ও শুটিংয়ের কোচ গোলাম শফিউদ্দিন খান। ধাপে ধাপে টোকিও পৌঁছবেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম, জুনাইনা আহমেদ ও অ্যাথলেট জহির রায়হান। এবারের গেমসে অংশ নিচ্ছে ছয় জন বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ।
প্রথম দিনে মঞ্চে নামবেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দীকি। আব্দুল্লাহ হেল বাকি ২৫ জুলাই ১০ মিটার এয়ার রাইফেল নামবেন।
গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। গত তিন বছর ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি।
গেমসে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের স্বপ্ন ভালো কিছু করা। দলের সাফল্যে আশাবাদী বিওএর সহসভাপতি বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘আমাদের আরচার রোমান সানা নিজ যোগ্যতায় টোকিও অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা ভালো কিছু আশা করছি। অলিম্পিক গেমস থেকে আমাদের যদি কোনো পদক আসে তাহলে বিওএ থেকে পুরস্কৃত হবেন তারা। আমরা ক্রীড়াবিদদের বলেছি, টাকার অঙ্ক নিয়ে ভাববেন না। তোমরা পদক পেলে পুরো দেশবাসী তোমাদের নিয়ে আনন্দ করবে।’
বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘যদি তারা সেরাটা উজাড় করে দিতে পারে, তাহলে দেশের জন্য সাফল্য এনে দিতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।’
আগামী ২৩ জুলাই শুরু হয়ে গেমসটি চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। এরই মধ্যে অলিম্পিক ভিলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে।
অ্যাথলেট জহির রায়হান রওনা দেবেন ২৫ জুলাই। তিনি ৪০০ মিটারে অংশ নেবেন। সাঁতারু আরিফুল ইসলাম প্যারিস থেকে এবং জুনাইনা আহমেদ লন্ডন থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
এবার বিশেষ কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না। টোকিওর হারুমি ওয়াটারফ্রন্ট জেলায় ৪৪ হেক্টর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে এই ভিলেজ। সাংবাদিকরা ভিলেজে প্রবেশ করতে পারবেন না।
২১টি আবাসিক বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি বারান্দা থেকে প্রতিটি দেশের জাতীয় পতাকা ঝোলানো হবে।
টোকিওর এই অলিম্পিক ভিলেজে ডাইনিং হল, ফিটনেস সেন্টার ছাড়াও থাকছে ডোপিং কন্ট্রোল সেন্টার। করোনা চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষা করা হবে।
ভিলেজে থাকা অ্যাথলটদের জন্য কড়া নিয়ম করা হয়েছে। ভিলেজে বাইরে কোনো টুরিস্ট স্পট, রেস্তোরাঁয় যাওয়া যাবে না।