গরু ব্যবসায়ীদের ১৩ লাখ টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৪
গত ঈদে রাজধানীর পশুর হাটে গরু বিক্রি করে ফেরার পথে ছয় ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় আন্তজেলা ডাকাতদল। পরে তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে ট্রাক থেকে সড়কের পাশে ফেলে দেয় ডাকাতরা। এ ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
চার ডাকাতকে প্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত এক লাখ টাকা উদ্ধারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন, রাজশাহীর বেলপুকুর থানাধীন মহেলদা এলাকার মো. মাইনুল ইসলাম (৩০), নাটোরের সিংড়া থানাধীন বনপুরি গ্রামের রজব আলী (৩০) ও জাহাঙ্গীর আলম (২৩) এবং একই জেলার সদর থানার লক্ষ্মীপুরের খোলাবাড়িয়া এলাকার আবুল বাশার ওরফে বাদশা (৪৫)।
পুলিশ সুপার জানান, ঈদের আগের দিন (২০ জুলাই) ঢাকার গুলশান থানাধীন নতুন বাজারের সাঈদনগর হাটে ১৪টি গরু ১৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। পরে রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হন ওই ছয় ব্যবসায়ী। পথে তারা বারিধারা নতুন বাজার এলাকায় সড়কের পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে একটি ট্রাকে উঠেন। ওই ট্রাকে গরু ব্যবসায়ী সেজে ১২ সদস্যের একদল ডাকাত যাত্রী বেশে আগে থেকে ওত পেতেছিল। ট্রাকটি গফরগাঁও যাওয়ার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের সালনা ওভারব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতরা ওই ছয় ব্যবসায়ীকে এলোপাথারি মারধর করে। এ সময় তারা গামছা দিয়ে ব্যবসায়ীদের চোখ, হাত ও পা বাঁধে এবং ছয়টি মোবাইল ফোনসহ গরু বিক্রির ১৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চোখ ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের জয়দেবপুর থানাধীন বাঁশরী সড়কের ঢালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ব্যাপারে গত ২৭ জুলাই জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাটোর, সিরাজগঞ্জ, সাভার, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১৩ লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা উদ্ধারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সবাই আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।