পরী মণির মামলা, নাসির-অমির বিরুদ্ধে যে কারণে অভিযোগপত্র
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ওসমান মুন্সি এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রটি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গ্রহণের জন্য দেওয়া হয়েছে। বিচারক গ্রহণের পরে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য বদলি করা হবে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আনোয়ারুল বাবুল আজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে, বোট ক্লাবে আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলাসহ অশ্লীল আচরণ করেন। এ সময় তারা পরী মণিকে মারধর করে হুমকি দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩২৩/৫০৬ অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া মামলার এজহারনামীয় আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি চিত্রনায়িকা পরী মণিকে কৌশলে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। এরপর সেখানে পরীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩০ ধারায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।’
আনোয়ারুল বাবুল বলেন, ‘মামলায় নতুন করে শহিদুল ইসলাম নামের এক আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।’
এদিকে মামলার পর নানা ঘটনা প্রবাহে বাদী পরী মণি নিজেই আসামি হয়ে যান। গত ৪ আগস্ট পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। পরদিন তাঁকে বনানী থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর ওই মামলায় পরী মণিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আদালতে জামিন পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মণি।