নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু
নরসিংদীতে পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নরসিংদী সদর উপজেলায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এবং পলাশ উপজেলায় গতকাল দুপুরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নরসিংদী সদর উপজেলায় নিহত দুজন হলো ফেনির দাগনভূঞা উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার আসাদুজ্জামান নান্নুর ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম বাবর (২১) এবং একই এলাকার মো. হানিফ খানের ছেলে মোর্শেদ খান (১৭)। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা নরসিংদীতে থেকে একটি লুঙ্গির ফ্যাক্টরিতে প্রিন্টিং ও প্রসেসিং সেকশনে কাজ করতো।
অন্যদিকে, পলাশ উপজেলায় নিহত একজন হলেন নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার খিলগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলী মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৭)।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নরসিংদী পৌর এলাকার ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের বিলাসদী-তরোয়া এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম বাবর ও মোর্শেদ খান মারা যায়।
এ ছাড়া গতকাল দুপুরে পলাশের জিনারদী রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে সোহাগ মিয়ার মৃত্যু হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমায়েদুল জাহেদী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় দুই যুবক কথা বলতে বলতে তরোয়া-বিলাসদী এলাকায় রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় কানে হেডফোন থাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিকট শব্দ শুনতে না পারায় ট্রেনে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যেরা লাশ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে ওমর ফারুক নামের এক স্বজন ও সহকর্মী ফাঁড়িতে গিয়ে দুই লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
অপরদিকে, পলাশ উপজেলায় ট্রেন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ট্রেনটি দুপুরে জিনারদী রেলস্টেশন এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় সোহাগ মিয়া নামের এক যুবক হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মাথা থেঁতলে যায় ও পা কেটে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।