মানিকগঞ্জে পুলিশের স্ত্রী বিলকিস আক্তার হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন রাজবাড়ীর মো. কবির হোসেন (৩০), মো. রিয়াজ উদ্দিন সরদার রিয়াজ (২৬), বগুড়ার শাকিল হাসান (১৯) ও  রংপুরের আঁখি মনি লিপি আক্তার।

এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি রূপার নুপুর, একটি স্বর্ণের পায়েল, তিনটি স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, একটি স্বর্ণের লকেট ও দুটি স্বর্ণের কানের দুল এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপু‌রের দিকে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন।

পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পূর্ব পরিচিত হওয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকার বাসাভাড়ায় আসামি কবির হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন সরদার, শাকিল হাসান ও আঁখি মনি লিপি বেড়াতে আসেন। এর পর সঙ্গে নিয়ে আসা ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় ও জুস বিলকিস ও তার ছেলে-মেয়েকে খাওয়ান। এর পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে পাশের রুমে ছেলে ও মেয়ে রেখে আসে এবং আসামি রিয়াজ উদ্দিন বিলকিসকে ধর্ষণ করেন। এরপর আসামি বিলকিসের হাত, পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ নিয়ে ওই রাতে পালিয়ে যান।

পরের দিন শনিবার সকালে পুলিশ মাসুদ রানার স্ত্রী বিলকিস আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন নিহতের বাবা মজেম আলী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে পুলিশ কাজ শুরু করে এবং সর্ব প্রথম আঁখি আক্তার লিপিকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাকি আসামিদের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) জামিনুর রহমান জানান, দুপুরে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আসামিরা ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।