নির্বাচনী এলাকাগুলো বিএনপিশূন্য করা হচ্ছে
দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও হামলা অব্যাহত রাখতে শাসনযন্ত্রের সব শক্তি প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারি আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ দলটির।
আজ রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তথাকথিত প্রহরীরা জানে, কী করে গণতন্ত্রের স্বীকৃত বিরোধী মত, সমালোচনা, সভা-সমাবেশ দমন করে একদলীয় শাসন চালিয়ে যেতে হয়। গণতন্ত্রের নামমাত্র একটি লেবেল গায়ে সেঁটে রাখার জন্য তারা এক ধরনের নির্বাচনী খেলা খেলে, যে নির্বাচন হয় একতরফা ভোটারবিহীন।
আপনারা গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখেছেন তাদের তাণ্ডব। কী করে তারা ছিনিয়ে নিয়েছে ভোটের ফল।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বারবার কমিশন স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও জনগণ অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায়নি। এদিকে, নির্বাচনী পরিবেশ শঙ্কামুক্ত করার নামে সরকারের যৌথ বাহিনীর ড্রাইভ আগামী পৌর নির্বাচন প্রভাবিত করার আরেকটি কারসাজি। সেটি মূলত বিরোধী দলকে দমন এবং জনগণকে ভয় দেখানোর জন্যই এই ড্রাইভ দেওয়া হচ্ছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে, যাতে নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে কেউ যেতে সাহস না করে।’
আগামী পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচন কমিশন যে ‘সরকারের অঙ্গুলি হেলনে’ কাজ করছে না, তা প্রমাণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র ও সাংবিধানিক ভূমিকার কোনো বিকল্প হতে পারে না বলেও মনে করেন তিনি।
এ ছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃণমূল দলের আলোচনায় আ স ম হান্নান শাহ বলেন, পৌর নির্বাচন নিয়ে সরকারের আচরণ প্রতিহিংসায় রূপ নিচ্ছে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে এসব বিষয় বারবার জানানো হলেও হতাশা ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ক্ষমতার জোরে নির্বাচনী এলাকাগুলো করা হচ্ছে বিএনপিশূন্য।
তবে সব ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব সমস্যা মোকাবিলা করার আহ্বান জানান দলটির নেতারা।