ওমানে গিয়ে পা হারালেন প্রবাসী বাংলাদেশি
ওমান প্রবাসী মো. শাহ আলম এক বছর পাঁচ মাস আগে ওমানে যান নিজের ভাগ্য ফেরানোর আশায়। কিন্তু, তার ভাগ্যের চাকা যেন ঘুরল উল্টো দিকে। ভিসা অনুযায়ী ওমান গিয়ে ওয়ার্কশপে কাজ করার কথা থাকলেও সেটি করতে পারেননি। তাকে করতে হয়েছে সাগরে মাছ ধরার কাজ। গত ৪ মে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় এক পা হারান তিনি। ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তার বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট গোয়ানঘাটের বিসলাকান্দি এলাকায়।
শাহ আলমের বড় ভাই শামিম আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাই একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তিনি সাগরে মাছ ধরতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওমানে একটি মামলা হয়েছে।’
ভুক্তোভোগী শাহ আলমের আরেক ভাই মো. সামসুল হক বর্তমানে ওমানে আছেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছেন। সামসুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এবং আমার ভাই একসঙ্গে থাকি। ওমানের আল দুকুম থানার রাজ মাতারকা এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী মালিকের অধীনে কাজ করতাম। ওমানে মাছ ধরার ব্যবসাকে বলা হয় শেরখা। আমাদের শেরখার প্রধান ফোরমেন ছিলেন মো. এরশাদ মিয়া। শাহ আলম ভালো কাজ করায় তাকে পরবর্তী ফোরম্যান বানানোর কথা বলেছিলেন এরশাদ মিয়া। অথচ, আজ তার পা নেই।...নৌকার ইঞ্জিনের ফ্যানের সঙ্গে লেগে শাহ আলমের পা কাটা পড়েছে।’
সামসুল হক আরও বলেন, ‘আমার ভাইকে (শাহ আলম) যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে এনেছি। ইবরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা হচ্ছে। তিনি চার দিন কোমায় ছিলেন। এখনও হাসপতালে চিকিৎসাধীন। এখানকার সরকার আমাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আগামীকাল বাংলাদেশে নিয়ে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় ওমানের একটি থানায় অভিযোগ করেছিলাম, সেটির কোনো কাগজ আমার কাছে নেই। দূতাবাসে আমি অনেকবার ফোন দিয়েছি, কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি। বাংলাদেশের সরকার, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার ভাইকে সুস্থ করার জন্য সাহায্য করুন।’
এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইন থেকে বাংলাদেশ মাস্কাট দূতাবাসে শ্রমিকবিষয়ক নম্বরে কয়েকবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ওমানে শ্রম কল্যাণ উইংয়ের বাংলাদেশ কাউন্সেলর মো. হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা বলতে টেলিফোনে একাধিকবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ করা যায়নি।