আপনার জিজ্ঞাসা
শবে বরাত উপলক্ষ্যে গরিবদের রুটি-হালুয়া খাওয়ানো জায়েজ?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৮১৯তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আরিফ হোসেন নামের একজন জানতে চেয়েছেন, শবে বরাত উপলক্ষ্যে রুটি-হালুয়া গরিবদের খাওয়ানো যাবে কি না? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : শবে বরাত উপলক্ষ্যে রুটি-হালুয়া গরিবদের খাওয়ানো যাবে? আমরা ছোটবেলা থেকে এটি করে থাকি। কিন্তু, এখন শুনছি এটি নাকি বেদআত। গরিবদের খাওয়ানো তো ভালো কাজ, তাহলে এটি বেদআত কেন?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। প্রতিবেশীকে খাওয়ানো কিংবা গরিবদের রুটি-হালুয়া খাওয়া ভালো কাজ। কিন্তু, শবে বরাত উপলক্ষ্যে বলে সেটিকে নাজায়েজ করে দিয়েছেন। অবশ্যই খুব ভালো কাজ। কিন্তু, এই কাজটি শবে বরাত উপলক্ষ্যে করাটা ঠিক নয়। এটিকে এই রাত কেন্দ্রিক ইবাদত মনে করলে সেটি বেদআত হবে। যেহেতু রাসুল (সা.) তাঁর কোনো হাদিসে এই রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়ানোর কথা বলেননি। তাহলে এই রাতে ইবাদত হিসেবে এটি করলে সেটি বেদআত। এটিকে ইবাদত হিসেবে মানলে বেদআত হবে, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু, শবে বরাতের উপলক্ষ্য হিসেবে না নিয়ে অন্য যেকোনো রাতে আপনি হালুয়া-রুটি বা যেকোনো কিছু খাওয়াতে পারেন। গরু জবাই করেও খাওয়াতে পারেন। এটি হালাল কাজ। মানুষকে খাওয়ানো একটি ভালো কাজ, সওয়াবের কাজ। কিন্তু, শবে বরাত উপলক্ষ্যে যদি আপনি এই কাজ করে থাকেন, তাহলে এটি হারাম তো হবেই, সঙ্গে তৈরি করাও হারাম। শবে বরাতের রাতের ইবাদতের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি বেদআত। এটির কোনোভাবেই জায়েজ নেই। রাসুল (সা.) যেটা করতে বলেননি, সেটাকে ইবাদত মনে করা যে বেদআত, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই।