ডিএসইর লেনদেন সাড়ে ৬০০ কোটির বেশি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে এদিন লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। সাড়ে ছয়শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন পৌছেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার চেয়ে বেড়েছে বেশি। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে লেনদেন পরিমান। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়ার চেয়ে কমেছে বেশি। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বেড়েছে বাজার মূলধন।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, আজ ডিএসইতে ৬৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি সাত টাকা। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৮০ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দুই দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৪৬ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ছয় দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএস সূচক এক দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিনে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির এবং কমেছে ৭২টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৮২টির। আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সী পার্ল বিচের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিডি থাইয়ের ২৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, রুপালী লাইফের ২৬ কোটি ছয় লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২৫ কোটি তিন লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকোর ১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের ১৫ কোটি ছয় লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড ১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
সিএসইতে আজ ১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৭৬ হাজার ৮৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৬৯ হাজার চার কোটি ৯৯ লাখ টাকা। প্রধান সূচক সিএএসপিআই তিন দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫২০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক এক দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক দুই পয়েন্ট করে কমেছে। এ ছাড়া সিএসই৫০ সূচক এক দশমিক ৮৩ পয়েন্ট এবং সিএসই৩০ সূচক আট দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ৫৬টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৯৬টির। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির দুই কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এ ছাড়া ইয়াকিন পলিমারের এক কোটি ২৭ লাখ টাকা, বিডি থাইয়ের এক কোটি ২১ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচের এক কোটি ১৬ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬০ লাখ টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ৫০ লাখ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৪৬ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৪২ লাখ টাকা, আরএন স্পিনিংয়ের ৪১ লাখ টাকা এবং সিনোবাংলার ৩২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।