লেনদেনের শীর্ষে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন বা ‘এন’ ক্যাটাগরির এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৭৩ শতাংশ একাই করেছে কোম্পানিটি। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিক লেনদেন শীর্ষে থাকা শেয়ারটির দর বেড়েছে তিন টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৪৮ টাকা ২০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪৫ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে তিন টাকা বা ছয় দশমিক ৬৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ১১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সপ্তাহটিতে মোট ৪১১টি কোম্পানি এক হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
সম্প্রতি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সমাপ্ত হিসাব অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ছয় পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (প্রি-আইপিও) দাঁড়ায় ৫৯ টাকা ৬৮ পয়সা। পোস্ট-আইপিও শেষে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৫০ টাকা ৬০ পয়সা।
২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৩ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
লেনদেন শীর্ষের ওই তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মার ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ৭৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, গোল্ডেন সনের ৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৬০ কোটি টাকা, শাইনপুকুরের ৪৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিংয়ের ৪৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, ফরচুন সুজের ৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং এমারেল্ড অয়েলের ৪০ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।