লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ খাত, পরেই বস্ত্র
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক উত্থানে পার করল গত সপ্তাহ (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারে মূলধনসহ বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আগের সপ্তাহ থেকে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন বেশি হয়েছে ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বাজারে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহেও লেনদেন শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। পরে অবস্থানে আছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার।
গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল সাত লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় সাত লাখ ৫হাজার ৭৯১ কোটি ছয় লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে শেয়ারবাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছিল ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি ১০ লাখ টাকায়।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয় দুই হাজার ৮২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭০৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৫২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪১২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২২৮টির, দর কমেছে ১৩৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১৭টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহটিতে প্রধান সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৬১৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৩২ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক ৩৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার সাত দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসএমইএক্স সূচক ২৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৯৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ওষুধ ও রসায়ন খাত কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে। খাতটির ১৬০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। পরের অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। লেনদেন ১১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। এরপরের অবস্থানে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। লেনদেন ৮৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার।
এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের লেনদেন ৭১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ব্যাংক খাতে ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, আইটি খাতে ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাট খাতে ২১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা, সিরামিক খাতে ১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, সাধারণ বিমা খাতে ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, জীবন বিমা খাতে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, বিবিধ খাতে ১২ কোটি তিন লাখ টাকা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা, টেলিকম খাতে আট কোটি ২১ লাখ টাকা, সিমেন্ট খাতে আট কোটি এক লাখ টাকা, ট্যানারি খাতে সাত কোটি ৭৮ লাখ টাকা, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ছয় কোটি ৬৩ লাখ টাকা, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে পাঁচ কোটি ৯১ লাখ টাকা, সেবা ও আবাসন খাতে চার কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং করপোরেট বন্ড খাতে ৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।