অলিম্পিকে সাফল্যে আশাবাদী বাংলাদেশ
আর কদিন বাদে পর্দা উঠছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমসের। ২৩ জুলাই থেকে জাপানের টোকিওতে শুরু হচ্ছে গমসটি। এবারের অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের স্বপ্ন ভালো কিছু করা।
এবারের গেমেসে বাংলাদেশের ছয় জন ক্রীড়াবিদ চারটি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবেন। তাঁরা হলেন, আরচার রোমান সানা, দিয়া সিদ্দীকি, সাঁতারু আরিফুল ইসলাম, জুনাইনা আহমেদ, শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি ও অ্যাথলেট জহির রায়হান।
বাংলাদেশ দলের সাফল্যে আশাবাদী বিওএর সহসভাপতি বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘আমাদের আরচার রোমান সানা নিজ যোগ্যতায় টোকিও অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা ভালো কিছু আশা করছি। অলিম্পিক গেমস থেকে আমাদের যদি কোনো পদক আসে তাহলে বিওএ থেকে পুরস্কৃত হবেন তারা। আমরা ক্রীড়াবিদদের বলেছি, টাকার অঙ্ক নিয়ে ভাববেন না। তোমরা পদক পেলে পুরো দেশবাসী তোমাদের নিয়ে আনন্দ করবে।’
বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘যদি তারা সেরাটা উজাড় করে দিতে পারে, তাহলে দেশের জন্য সাফল্য এনে দিতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।’
আগামী ২৩ জুলাই শুরু হয়ে গেমসটি চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। এরই মধ্যে অলিম্পিক ভিলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। গেমসে অংশ নিতে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা জাপানে যাবেন কয়েক ধাপে।
শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি এবং আরচার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দীকির আগামী শুক্রবার রওনা দেওয়ার কথা।
অ্যাথলেট জহির রায়হান রওনা দেবেন ২৫ জুলাই। তিনি ৪০০ মিটারে অংশ নেবেন। সাঁতারু আরিফুল ইসলাম প্যারিস থেকে এবং জুনাইনা আহমেদ লন্ডন থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের পতাকা বহন করবেন সাঁতারু আরিফুল।
এদিকে গত মঙ্গলবার অ্যাথলটদের জন্য টোকিও অলিম্পিকের গেমস ভিলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দল হিসাবে চেক প্রজাতন্ত্রের অ্যাথলিটরা প্রবেশ করেছেন ভিলেজে।
এবার বিশেষ কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না। টোকিওর হারুমি ওয়াটারফ্রন্ট জেলায় ৪৪ হেক্টর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে এই ভিলেজ। সাংবাদিকরা ভিলেজে প্রবেশ করতে পারবেন না।
২১টি আবাসিক বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি বারান্দা থেকে প্রতিটি দেশের জাতীয় পতাকা ঝোলানো হবে।
টোকিওর এই অলিম্পিক ভিলেজে ডাইনিং হল, ফিটনেস সেন্টার ছাড়াও থাকছে ডোপিং কন্ট্রোল সেন্টার। করোনা চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষা করা হবে।
ভিলেজে থাকা অ্যাথলটদের জন্য কড়া নিয়ম করা হয়েছে। ভিলেজে বাইরে কোনো টুরিস্ট স্পট, রেস্তোরাঁয় যাওয়া যাবে না।