অস্ট্রেলিয়াকে টপকে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বরে বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ সময় পার করছে বাংলাদেশ। কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় পেয়েছিল লাল-সবুজের দল। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টানা দুই জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। কিউইদের বিপক্ষে টানা দুই জয়ের সুবাদে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে টপকে প্রথমবার ছয় নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের দল।
আজ শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ের পরপরই র্যাঙ্কিং থেকে মিলল সুখবর। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হাটিয়ে সেরা পাঁচে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
গত বুধবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ জয়ের পর আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বর থেকে এক লাফে সাত নম্বরে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। তখন টপকে যায় আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এবার টপকে গেছে অস্ট্রেলিয়াকে।
অসিদের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই চার ম্যাচে জয়ের পর রেটিং বাড়লেও র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হয়নি। ১০ নম্বরে থেকেই নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরু করে মাহমুদউল্লাহর দল। প্রথম ম্যাচের আগে বাংলাদেশের রেটিং ছিল ২৩৪। জয়ের পর সেই রেটিং দাঁড়িয়েছে ২৩৮। তাতেই এক লাফে তিন ধাপ এগিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার এগিয়েছে আরও একধাপ।
আইসিসির ওয়েবসাইটের খবরে জানা গেছে, ২৪১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ছয় নম্বরে আছে। বাংলাদেশের নিচে আছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৩৮ রেটিং নিয়ে আজকের ম্যাচটি শুরু করে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ৩ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে।
বর্তমানে ২৪০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। ২৪৬ রেটিং নিয়ে পাঁচে আছে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অবশ্য র্যাঙ্কিং নিয়ে এখনই বেশি আনন্দ করা ঠিক হবে না। কারণ খুব দ্রুতই ওঠা-নামা করে টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিং। যেমন—সিরিজের পরের দুটি টি-টোয়েন্টিতে হেরে গেলেই বাংলাদেশ আবার নেমে যেতে পারে ৮ নম্বরে। আবার বাকি তিন ম্যাচে হেরে গেলে আবার ১০ নম্বরে নেমে যেত পারে বাংলাদেশ। তখন আবার রেটিং পয়েন্ট হয়ে যাবে ২৩৪।
বর্তমানে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২৭৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে ইংল্যান্ড। পরের তিনটি দল হলো— ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।